কাদের ওপর সালাত ফরয প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক জ্ঞানী মুসলিম ব্যক্তির ওপর সালাত ফরয। চাই পুরুষ হোক বা নারী হোক। কাফিরের ওপর সালাত ফরয নয়। এর অর্থ-দুনিয়াতে সে এর আদিষ্ট নয়। কারণ, তার কুফুরী অবস্থায় তার পক্ষ থেকে তা শুদ্ধ হবেনা।
তবে তা ছেড়ে দেওয়ার কারণে আখিরাতে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। কারণ, ইসলাম গ্রহণ করে তা আদায় করা তার জন্য সম্ভব ছিল, কিন্তু সে তা করে নি।
এর প্রমাণ আল্লাহর বাণী,
﴿مَاسَلَكَكُمۡفِيسَقَرَ٤٢قَالُواْلَمۡنَكُمِنَٱلۡمُصَلِّينَ٤٣وَلَمۡنَكُنُطۡعِمُٱلۡمِسۡكِينَ٤٤وَكُنَّانَخُوضُمَعَٱلۡخَآئِضِينَ٤٥وَكُنَّانُكَذِّبُبِيَوۡمِٱلدِّينِ٤٦حَتَّىٰٓأَتَىٰنَاٱلۡيَقِينُ٤٧﴾ [المدثر: ٤٢،٤٧]
“তোমাদেরকে কিসে সাকার নামক জাহান্নামে নিক্ষেপ করেছে? তারা বলবে, আমরা মুসল্লীদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম না, আমরা অভাবগ্রস্তকে আহার্য দান করতাম নাএবং আমরা অযথা আলোচনাকারীদের সহিত আলোচনায় নিমগ্ন থাকতাম।
আমরা কর্মফল দিবস অস্বীকার করতাম, আমাদের নিকট মৃত্যুর আগমণ পর্যন্ত”। [সূরা আল-মুদ্দাসসির, আয়াত: ৪২-৪৭]
আর বাচ্চাদের ওপরও ফরয নয়। কারণ, সে মুকাল্লাফ-প্রাপ্তবয়স্ক নয়। পাগলের ওপরও ফরয নয়। ঋতু ও নিফাসগ্রস্ত মহিলাদের ওপরও ফরয নয়। কারণ, শরী‘আত তাদের থেকে এর বিধান তুলে নিয়েছে, তা আদায়ে বাধাপ্রদানকারী নাপাকির কারণে।
বাচ্চা সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক তার বয়স যখন সাত বছর হবে তখন তার অভিভাবকের ওপর তাকে সালাতের আদেশ দেওয়া আবশ্যক। আর যখন তার বয়স দশ বছর হবে তখন সালাত আদায় না করলে তার অভিভাবকের ওপর তাকে প্রহার করা আবশ্যক। হাদীসে এর বর্ণনা এসেছে। যাতে সে তা আদায়ে অভ্যস্ত ও আগ্রহী হয়।
Leave a Reply