মানুষ ও জিন জাতির ঘটনা | জিন সম্পর্কে 9 তথ্য | pdf বই ডাউনলোড

মানুষ ও জিন জাতি সৃষ্টির উদ্দেশ্য কী?

সুরা যারিয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা মানুষ ও জিন জাতিকে তার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছেন মর্মে ঘোষণা দেন।

যেন মানুষ জীবনের প্রতিটি কাজই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করে থাকে। মহান আল্লাহ বলেন-

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ

‘আমার এবাদত করার জন্যই আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা যারিয়াত : আয়াত ৫৬)

মানুষ ও জিন

মানুষের সঙ্গে জিন জাতির বিয়ে কি জায়েজ?

মানুষের সঙ্গে জিন কিংবা পরীকে বিবাহ করা জায়েজ নয়, কেননা মানুষ ও জিন ভিন্ন ভিন্ন জাতি। তাই ভিন্ন প্রজাতির প্রাণী হওয়ায় পরস্পর বিবাহ জায়েজ নয়।কুরআন কারিমে আল্লাহতায়ালা বলেন,

আল্লাহতায়ালা তোমাদের নফস (শরীর) থেকেই তোমাদের স্ত্রী (জোড়া) সৃষ্টি করেছেন। আর শরিয়তের দৃষ্টিতে এক জাতির সঙ্গে ভিন্ন জাতির বিবাহ সম্পূর্ণ না জায়েজ।সুতরাং জিন জাতি যেহেতু মানবজাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক জাতি। মানুষ মাটির তৈরি প্রাণী আর জিন হলো আগুনের তৈরি।

আল আশবাহ গ্রন্থে রয়েছে, মানুষ আর জিনের মাঝে বিবাহ জায়েজ নেই। সত্তা আলাদা হওয়ার কারণে।রদ্দুল মুহতারে বলা হয়েছে— পুরুষের জন্য পুরুষ, প্রকৃত হিজড়া, খুনছায়ে মুশকিলাহ

(এমন হিজড়া যার একত্রে পুরুষ ও নারীর লিঙ্গ রয়েছে) জিন, পানির মানুষকে বিবাহ করা জায়েজ নেই (মৎস কণ্যা)।

More…

বৃষ্টিপাত কমার আভাস

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী জীবনী

আগস্ট মাসের আজান ও নামাজের সময়সূচি

সংক্ষিপ্ত বক্তব্য/ভাষণ | ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে

জাতীয় শোক দিবস কি | শোকের মাস শুরু কবে | আজ জাতীয় শোক দিবস

রিজিক সম্পর্কে হাদিস | রিজিক কী | রিজিক কত প্রকার

জিন সম্পর্কে বিস্ময়কর 9 তথ্য

এ ছাড়া ‘সুরা জিন’ নামের কোরআনে পাকের একটি স্বতন্ত্র সুরার নামকরণ হয়েছে।

ছোট-বড় প্রায় ৫৭টি আয়াতে এ সম্পর্কিত বহু বিস্ময়কর তথ্য রয়েছে, যা নিশ্চিতরূপে জিনের অস্তিত্ব প্রমাণ করে।

1. অভিশপ্ত শয়তান জিনের বংশোদ্ভূত:


কোরআনের ভাষ্য মতে, ইবলিশ শয়তান আদম (আ.)-এর সামনে সিজদা করতে অস্বীকার করেছিল। তাই তাকে বিতাড়িত করা হয়েছিল। সে ছিল জিনদের বংশোদ্ভূত।

(সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৫০)এ ছাড়া পবিত্র কোরআনের বহু জায়গায় শয়তান শব্দ দ্বারা জিনদের কথা বোঝানো হয়েছে।

2. জিনের আকৃতি কেমন


পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জিনের আকৃতিবিষয়ক যেসব বর্ণনা এসেছে, তা মৌলিকভাবে তিন প্রকার। দৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের প্রকৃত আকৃতি মানব চোখে অবলোকনযোগ্য।

(তাবরানি : ৫৭৩) অদৃশ্যমান : অর্থাৎ জিনের আকৃতিবিহীন শুধু শারীরিক উপস্থিতি অনুভূত হওয়া। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ২৩) বিকৃত আকৃতি : মানুষ, পশু-পাখি কিংবা বৃক্ষলতার আকৃতি ধারণ করা। (তাবরানি : ৪০১২)

3. জিনরা কী খায়


মানুষসহ অন্য প্রাণীরা যেমন খাওয়াদাওয়া করে, তদ্রূপ জিনরাও খাওয়াদাওয়াসহ অন্য প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূরণ করে থাকে।

আল্লাহর নামে জবাইকৃত পশুর হাড়-হাড্ডিই হলো জিনের খাবার। একদা জিনের একটি দল নবীজি (সা.)-কে তাদের এলাকায় নিয়ে গেল। সেখানে নবীজি তাদের কোরআন তিলাওয়াত করে শোনালেন। অতঃপর তারা জিজ্ঞেস করল, আমাদের হালাল

খাবার কী? নবীজি (সা.) বলেন, ‘প্রত্যেক ওই পশুর হাড়, যা আল্লাহর নামে জবাই করা হয় (সেগুলোই জিনদের খাবার)।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৫৮)

4. জিনদের বিয়েশাদি এবং সন্তান প্রজনন


মহান আল্লাহ নিজ প্রজ্ঞাগুণে প্রতিটি বস্তু জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন। তাই জিন জাতির মধ্যেও রয়েছে নর-নারীর জোড়া। মানুষের মতো তাদেরও রয়েছে বিয়েশাদি ও বাচ্চা প্রজননের নির্ধারিত প্রক্রিয়া। পবিত্র কোরআনে জান্নাতি রমণীদের কুমারীত্বের

বর্ণনায় এসেছে যে তাদের কোনো মানুষ বা জিন স্পর্শ করেনি। (সুরা : আর রহমান, আয়াত : ৫৬)অন্য এক আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা কি আল্লাহকে ছেড়ে শয়তান ও তার বংশধরদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করেছ?’

(সুরা : কাহাফ, আয়াত : ৫০)এই দুই আয়াত থেকে জিনদের যৌনাকাঙ্ক্ষা ও বংশ প্রজননের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়।

5. জিনদের ধর্ম কী?


জিন জাতি আল্লাহর মাখলুকের মধ্য থেকে একটি মাখলুক। মহান আল্লাহ তাদের রব। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মানুষ ও জিন, তোমরা তোমাদের রবের কোনো অবদানকে অস্বীকার করতে পারবে?’আর প্রত্যেক নবী নির্দিষ্ট অঞ্চলের

তৎকালীন মানুষ এবং জিনদের হেদায়েতের বার্তাবাহক হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘ওহে মানুষ ও জিন, আমি কি যুগে যুগে তোমাদের কাছে নবী প্রেরণ করিনি…?’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ৩০)যেহেতু মহানবী (সা.)

কিয়ামত পর্যন্ত বিশ্বজগতের জন্য নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছেন, তাই বর্তমান জিনদের জন্য শরিয়তে মোহাম্মদী তাদের ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হবে।

6. জিনদের ধর্মীয় বিধি-বিধান


মানুষের মতো জিনদের ক্ষেত্রেও ধর্মীয় অনুশাসনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাদের ইহকালীন কৃতকর্মের জন্য হাশরের ময়দানে নিজ নিজ কর্মের হিসাব দিতে হবে।

সৎকর্মশীলদের জন্য জান্নাত এবং মন্দ কর্মের জন্য অপরাধীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে। (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৪)

7. মানবদেহে জিনের অনুপ্রবেশ!


আশ্চর্য হলেও সত্য যে জিনরা মানবদেহের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করতে পারে। এমনকি মানুষের জ্ঞানবুদ্ধির ওপরও প্রভাব

ফেলে তাকে বিকারগ্রস্তও করে ফেলতে পারে। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা সুদ খায় তারা কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় দণ্ডায়মান হবে, যেমন শয়তানের আছর (কুপ্রভাব) কাউকে বিকারগ্রস্ত করে ফেলে।’

(সুরা : বাকারা, আয়াত : ২৭৫)তদ্রূপ হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, নবীজি (সা.) বলেন, ‘শয়তান তোমাদের দেহে অনুরূপ বিচরণ করে, যেমন রক্ত দেহের সর্বত্র প্রবাহিত হয়।’ (বুখারি, হাদিস : ৩৪৮২)

8. জিনরা কি অদৃশ্য বিষয়ে জানে?


আসমান ও জমিনের কোনো অদৃশ্যের সংবাদ আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। তবে অনেক দৃশ্যমান বিষয় জিনরা অদৃশ্য থেকে অবলোকন করে তা বর্ণনা করে, যা অনেকে অদৃশ্যের খবর বলে মনে করে থাকে। এটা নিছক ভুল ধারণা।

9. সৎকর্মশীলদের ওপর জিনের কুপ্রভাব পড়ে না


জিন মানবদেহে প্রভাব বিস্তার করতে পারলেও নেককার মুসলমানদের ক্ষেত্রে তার প্রচেষ্টা নিষ্ফল হয়। পবিত্র কালামে পাকে জিন ও শয়তানের উদ্দেশে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘যারা আমার একনিষ্ঠ বান্দা, তাদের প্রতি তোমার কোনো প্রভাব কার্যকর হবে না।’ (সুরা : হিজর, আয়াত : ৪৩)

মানুষের উপর জ্বিনের আছর pdf বই ডাউনলোড

মানুষের উপর জ্বিনের আছর pdf বই ডাউনলোড। জিন আল্লাহ তাআলার একটি সৃষ্টি । যেমন তিনি ফেরেশতা মানুষ সৃষ্টি করেছেন তেমনি সৃষ্টি করেছেন জিন। তাদের বিবেক,বুদ্ধি, অনুভুতি শক্তি রয়েছে। তাদের আছে ভাল ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা ।

তাদের মধ্যে আছে ভাল জিন ও মন্দ জিন।

Tags

মানুষ ও জিন,মানুষের সঙ্গে জিন জাতির বিয়ে,জিন সম্পর্কে বিস্ময়কর 9 তথ্য,জিনের আকৃতি কেমন,জিনরা কী খায়,জিনদের বিয়েশাদি এবং সন্তান প্রজনন,জিনদের ধর্ম কী?,জিনদের ধর্মীয় বিধি-বিধান,জিনরা কি অদৃশ্য,সৎকর্মশীলদের ওপর জিনের কুপ্রভাব,জ্বিনের আছর pdf,জিন জাতির একটি শিক্ষনীয় ঘটনা,

মানুষ ও জিন জাতির একটি শিক্ষনীয় ঘটনা

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *