সূরা আত্ব-তারিক্ব বাংলা উচ্চারণ, আরবি উচ্চারন বাংলায় অনেক সময় ভুল থাকে। তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, যখন বাংলায় উচ্চারন শিখবেন তখন অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে নিবেন। আর যদি কেউ আরবি দেখে পড়তে না পারেন তাহলে অবশ্যই অডিও শোনে বাংলার সাথে মিলিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
Table of Contents
অডিও
সূরা আত্ব-তারিক্ব বাংলা উচ্চারণ, অর্থ
- وَٱلسَّمَآءِ وَٱلطَّارِقِ
ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক।
শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে আগমনকারীর।
By the Sky and the Night-Visitant (therein);- - وَمَآ أَدْرَىٰكَ مَا ٱلطَّارِقُ
ওয়া মাআদরা-কা মাত্তা-রিক।
আপনি জানেন, যে রাত্রিতে আসে সেটা কি?
And what will explain to thee what the Night-Visitant is?- - ٱلنَّجْمُ ٱلثَّاقِبُ
আন্নাজমুছছা-কিব।
সেটা এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
(It is) the Star of piercing brightness;- - إِن كُلُّ نَفْسٍ لَّمَّا عَلَيْهَا حَافِظٌ
ইন কুল্লুনাফছিল লাম্মা-‘আলাইহা-হা-ফিজ।
প্রত্যেকের উপর একজন তত্ত্বাবধায়ক রয়েছে।
There is no soul but has a protector over it. - فَلْيَنظُرِ ٱلْإِنسَٰنُ مِمَّ خُلِقَ
ফালইয়ানযুরিল ইনছা-নুমিম্মা খুলিক।
অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে।
Now let man but think from what he is created! - خُلِقَ مِن مَّآءٍ دَافِقٍ
খুলিকা মিম্মাইন দা-ফিকি।
সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে।
He is created from a drop emitted- - يَخْرُجُ مِنۢ بَيْنِ ٱلصُّلْبِ وَٱلتَّرَآئِبِ
ইয়াখরুজুমিম বাইনিসসুলবি ওয়াত্তারাইব।
এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে।
Proceeding from between the backbone and the ribs: - إِنَّهُۥ عَلَىٰ رَجْعِهِۦ لَقَادِرٌ
ইন্নাহূ‘আলা-রাজ‘ইহী লাকা-দির।
নিশ্চয় তিনি তাকে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম।
Surely (Allah) is able to bring him back (to life)! - يَوْمَ تُبْلَى ٱلسَّرَآئِرُ
ইয়াওমা তুবলাছ ছারাইর।
যেদিন গোপন বিষয়াদি পরীক্ষিত হবে,
The Day that (all) things secret will be tested, - فَمَا لَهُۥ مِن قُوَّةٍ وَلَا نَاصِرٍ
ফামা-লাহূমিন কুওওয়াতিওঁ ওয়ালা-না-সির।
সেদিন তার কোন শক্তি থাকবে না এবং সাহায্যকারীও থাকবে না।
(Man) will have no power, and no helper. - وَٱلسَّمَآءِ ذَاتِ ٱلرَّجْعِ
ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই।
শপথ চক্রশীল আকাশের
By the Firmament which returns (in its round), - وَٱلْأَرْضِ ذَاتِ ٱلصَّدْعِ
ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।
এবং বিদারনশীল পৃথিবীর
And by the Earth which opens out (for the gushing of springs or the sprouting of vegetation),- - إِنَّهُۥ لَقَوْلٌ فَصْلٌ
ইন্নাহূলাকাওলুন ফাসল।
নিশ্চয় কোরআন সত্য-মিথ্যার ফয়সালা।
Behold this is the Word that distinguishes (Good from Evil): - وَمَا هُوَ بِٱلْهَزْلِ
ওয়ামা-হুওয়া বিল হাঝলি।
এবং এটা উপহাস নয়।
It is not a thing for amusement. - إِنَّهُمْ يَكِيدُونَ كَيْدًا
ইন্নাহুম ইয়াকীদূনা কাইদাওঁ।
তারা ভীষণ চক্রান্ত করে,
As for them, they are but plotting a scheme, - وَأَكِيدُ كَيْدًا
ওয়া আকীদুকাইদা।
আর আমিও কৌশল করি।
And I am planning a scheme. - فَمَهِّلِ ٱلْكَٰفِرِينَ أَمْهِلْهُمْ رُوَيْدًۢا
ফামাহহিলিল কা-ফিরীনা আমহিলহুম রুওয়াইদা-।
অতএব, কাফেরদেরকে অবকাশ দিন, তাদেরকে অবকাশ দিন, কিছু দিনের জন্যে।
Therefore grant a delay to the Unbelievers: Give respite to them gently (for awhile).
More……..
সূরা আসর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত
সূরা আল ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল নাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ইখলাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ
সূরা তাকাসুর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি
ফজিলত সূরা আত্ব-তারিক্ব
এই সূরায় আল্লাহ তা’আলা আকাশ ও নক্ষত্রের শপথ করে বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের ওপর একজন তত্ত্বাবধায়ক ফেরেশতা নিযুক্ত আছেন, তিনি তার সমস্ত কাজকর্ম ও নড়াচড়া দেখেন, জানেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের চিন্তা করা উচিত যে,
সূরা আত্ব-তারিক্ব সে দুনিয়াতে যা কিছু করছে, তা সবই কিয়ামতের দিন হিসাব-নিকাশের জন্য আল্লাহর কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। তাই কোনো সময় পরকাল ও কিয়ামতের চিন্তা থেকে গাফেল হওয়া অনুচিত।
এরপর পুনরুজ্জীবন সম্পর্কে শয়তান মানুষের মনে যে অসম্ভাব্যতার সন্দেহ সৃষ্টি করে, তার জবাব প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, মানুষ লক্ষ করুক যে, সে কীভাবে বিভিন্ন অণুকণা ও বিভিন্ন উপকরণ থেকে সৃজিত হয়েছে।
যিনি প্রথম সৃষ্টিতে সারা বিশ্বের কণাসমূহ একত্রিত করে একজন জীবিত, শ্রোতা ও দ্রষ্টা মানব সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন; তিনি তাকে মৃত্যুর পর পুনরায় তদ্রূপ সৃষ্টি করতেও সক্ষম। এরপর কিয়ামতের কিছু অবস্থা বর্ণনা করে আবার আকাশ ও পৃথিবীর শপথ
করা হয়েছে, সে যেন তাকে হাসি-তামাশা মনে না করে । এটা এক বাস্তব সত্য, যা অবশ্যই সংঘটিত হবে। অবশেষে দুনিয়াতে কেন আজাব আসবে না কাফেরদের এই প্রশ্নের জবাবের মাধ্যমে সূরা সমাপ্ত করা হয়েছে।
যেগুলোর আমল করা মানুষের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সুরাগুলোর আমল ও ফজিলত তুলে ধরা হলো-
সুরা যুখরূফ-এর আমলের ফজিলত
- তাফসিরে দুরারুন নজমে এসেছে, এ সুরাটি লিখে বৃষ্টির পানি দ্বারা ধৌত করে পান করলে কফ-কাশি দূর হয়।
- যে ব্যক্তি স্বপ্নে দেখবে যে, সুরা যুখরূফ তেলাওয়াত করছে, তার অর্থ দাঁড়াবে ঐ ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে সফল হবে আর পরকালে সে উচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।
সুরা দুখান-এর আমলের ফজিলত
- ইবনে মারদুবিয়া হজরত আবু উমামা বাহেলি রাদিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে অথবা জুমআর দিনে সুরা দুখান তেলাওয়াত করে, আল্লাহ তাআলা তাঁর জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরি করেন।
- বাইহাকি বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর রাতে এ সুরা এবং সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে। সে সকালে এমন অবস্থায় জাগ্রত হবে যে, তার সকল গোনাহ মাফ করে দেয়া হয়েছে।
- ইমাম তিরমিজি ও বাইহাকি হজরত আবু হুরায়রা থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা দুখান তেলাওয়াত করবে, সত্তর হাজার ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত তার জন্য মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকবে।
- হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি সন্ধ্যা বেলায় সুরা দুখান, সুরা গাফের ও আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করবে, সকাল পর্যন্ত তাঁর হেফাজত করা হবে এবং সে কোনো প্রকার মন্দ কিছু দেখবে না।
সুরা ঝাছিয়া-এর আমলের ফজিলত
- যে ব্যক্তি স্বপ্নে এ সুরাকে পাঠ করতে দেখে, তার মধ্যে দুনিয়া ত্যাগের ভাব তৈরি হবে এবং সে পরহেজগার তথা আল্লাহভীরু হবে।
- সন্তান ভূমিষ্ট হওয়ার পর কেউ যদি এ সুরা লিবিপদ্ধ করে তার দেহে বেঁধে রাখে, তবে সব ধরনের কষ্টদায়ক বস্তু থেকে নবজাতক শিশু হেফাজত থাকবে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ সুরাগুলোর নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন। আামিন।
Leave a Reply