সালাতের ওয়াজিবসমূহ সালাতের ওয়াজিব আটটি। যথা-
প্রথম:
সালাতের ওয়াজিবসমূহ
তাকবীরে তাহরীমাহ’র তাকবীর ছাড়া সালাতে অন্যান্য তাকবীরসমূহ।
দ্বিতীয়:
«سمع الله لمن حمده»
(সামি‘য়াল্লাহু লিমান হামিদা) বলা।
আর তা ইমাম ও একাকী সালাত আদায়কারীর জন্য ওয়াজিব। তবে মুক্তাদী তা পাঠ করবে না।
তৃতীয়:
ইমাম, মুক্তাদী ও একাকী সালাত আদায়কারী সকলের ওপর
«ربناولك الحمد«
(রাব্বানা ওয়ালাকাল হামদ) বলা ওয়াজিব।
চতুর্থ:
রুকুতে
«سبحان ربي العظيم»
(সুবহা-না রাব্বিয়াল ‘আযীম) বলা।
পঞ্চম:
সিজদায়
«سبحان ربي الأعلى»
(সুবহা-না রাব্বিয়াল আ‘লা) বলা।
ষষ্ঠ:
দু’সিজদাহ’র মাঝে
«رب غفر لي»
(রাব্বিগফিরলী) বলা।
সপ্তম:
প্রথম বৈঠকে আত-তাহিয়্যাত পড়া, আর তা হলো,
«التحيّات لله والصلوات والطيبات، السلام عليك أيها النبي ورحمة الله وبركاته، السلام علينا وعلى عباد الله الصالحين، أشهد أن لا إله إلا الله، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله»
উচ্চারণ: আত্তাহিয়্যা-তু লিল্লা-হি ওয়াস্ সালা-ওয়া-তু ওয়াত্ তাইয়্যেবা-তু, আস্সালা-মু আলাইকা আইউ হান্নাবিয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহ। আসসসালা-মু আলাইনা-ওয়া আ‘লা-ইবাদিল্লা-হিস্ স্ব-লিহীন। আশহাদু আল্লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াশ্ হাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহ।
বা অনুরূপ প্রমাণিত তাহিয়্যাত পাঠ করা।
অষ্টম:
প্রথম বৈঠকের জন্য বসা।
আর যারাই ইচ্ছাকৃতভাবে এ ওয়াজিবসমূহের কোনো একটি ওয়াজিব ছেড়ে দিবে তাদেরই সালাত বাতিল হয়ে যাবে।
আর যে ব্যক্তি তা ছেড়ে দিবে অজ্ঞতা বা ভুলবশতঃ সে সাহু সাজদাহ দিবে।
১২- জামা‘আতে সালাত:
মাসজিদে জামা‘আতের সাথে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত পড়া মুসলিম ব্যক্তির ওপর আবশ্যক। এতে সে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ছাওয়াব অর্জন করতে পারবে।
একা সালাত পড়ার চাইতে জামা‘আতে সালাত পড়ার ছাওয়াব সাতাশ গুণ বেশি। ইবনউমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমার বর্ণিত হাদীসে আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«صلاة الجماعة أفضل من صلاة الفذ بسبع وعشرين درجة».
“জামা‘আতে সালাত পড়া, একা সালাত পড়ার চাইতে সাতাশ গুণ (সাওয়াব) বেশি”।তবে মুসলিম নারীর নিজ বাড়ীতে সালাত পড়া জামা‘আতে সালাত পড়ার চাইতে উত্তম।
সহীহ বুখারী ও মুসলিম।
Leave a Reply