সূরা আল ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ, আরবি উচ্চারন বাংলায় অনেক সময় ভুল থাকে। তাই আপনাদের সবাইকে অনুরোধ করছি, যখন বাংলায় উচ্চারন শিখবেন তখন অবশ্যই আরবির সাথে মিলিয়ে নিবেন। আর যদি কেউ আরবি দেখে পড়তে না পারেন তাহলে অবশ্যই অডিও শোনে বাংলার সাথে মিলিয়ে নিবেন। ধন্যবাদ সবাইকে
Table of Contents
অডিও
সূরা আল ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ
- أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
আলাম নাশরাহলাকা সাদরাক।
আমি কি আপনার বক্ষ উম্মুক্ত করে দেইনি?
Have We not expanded thee thy breast? - وَوَضَعْنَا عَنكَ وِزْرَكَ
ওয়া ওয়াদা‘না-‘আনকা বিঝরাক
আমি লাঘব করেছি আপনার বোঝা,
And removed from thee thy burden - ٱلَّذِىٓ أَنقَضَ ظَهْرَكَ
আল্লাযীআনকাদা জাহরাক।
যা ছিল আপনার জন্যে অতিশয় দুঃসহ।
The which did gall thy back? - وَرَفَعْنَا لَكَ ذِكْرَكَ
ওয়া রাফা‘না-লাকা যিকরাক।
আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
And raised high the esteem (in which) thou (art held)? - فَإِنَّ مَعَ ٱلْعُسْرِ يُسْرًا
ফাইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা।
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
So, verily, with every difficulty, there is relief: - إِنَّ مَعَ ٱلْعُسْرِ يُسْرًا
ইন্না মা‘আল ‘উছরি ইউছরা।
নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।
Verily, with every difficulty there is relief. - فَإِذَا فَرَغْتَ فَٱنصَبْ
ফাইযা-ফারাগতা ফানসাব।
অতএব, যখন অবসর পান পরিশ্রম করুন।
Therefore, when thou art free (from thine immediate task), still labour hard, - وَإِلَىٰ رَبِّكَ فَٱرْغَب
ওয়া ইলা- রাব্বিকা ফারগাব।
এবং আপনার পালনকর্তার প্রতি মনোনিবেশ করুন।
And to thy Lord turn (all) thy attention.
More……..
সূরা আসর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত
সূরা আল ফাতিহা বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল নাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ফালাক বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ
সূরা আল ইখলাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ
সূরা তাকাসুর বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, ফজিলত, আরবি
ফজিলত
এই সূরার শুরুতে আঞ্জির (ডুমুর), যয়তুন (জলপাই), সিনাই পর্বত এবং মক্কা শহরের কসম বা দোহাই দেয়া হয়েছে। আরবে সেই যুগে আঞ্জির ও জলপাই অত্যন্ত গুরুত্ববাহী দুটি ফল ছিল; খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে এর গুরুত্ব ছিল অসীম।
সিনাই পর্বত হলো নবী হযরত মুসা (আ:) এর স্মৃতিবিজড়িত স্থান। আর মক্কা ছিল নবী হযরত ইব্রাহিম এবং ইসমাইল (আ:) এর স্মৃতিবিজড়িত জায়গা।
তদুপরি পবিত্র কাবা ঘরের মর্যাদার কারণে এই শহরটি নিরাপদ শহর হিসেবে তৎকালে গণ্য হত; সেখানকার অধিবাসীরা যুদ্ধ ও লুন্ঠনের আশঙ্কামুক্ত ছিল। এসকল বিষয়ের দোহাই দেওয়ার পর বলা হয়েছে, মানুষ অত্যন্ত সুন্দর গড়নে সৃষ্ট হয়েছে।
কিন্তু এদেরকেই আবার অত্যন্ত নিচে নামিয়ে দেয়া হবে যদি এরা স্রষ্টা ও প্রতিপালকের উপর বিশ্বাস না রাখে এবং ভাল কার্যকলাপ না করে।
তদুপরি শেষ বিচারের দিন এদেরকে কঠিন বিচারের মুখোমুখিও হতে হবে। সমাপ্তিতে এও মনে করিয়ে দেয়া হয়েছে যে, মহান প্রভু কখনো কারো উপর অবিচার করবেন না; শুধুমাত্র সুবিচারই করবেন।
Leave a Reply