কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করার সময় কিভাবে আমরা অনুভূতিতে আনতে পারি যে,qari abdul basit আল্লাহ্ আমাদেরকে সম্বোধন করছেন?
প্রশ্ন
উত্তর
প্রশ্ন
আলেমগণ বলেন: কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করার সময় ব্যক্তি যেন এ অনুভুতি লালন করে যে, প্রত্যেক আয়াতে আল্লাহ্ তাকে সম্বোধন করছেন। কিন্তু, শাইখ! আল্লাহ্ যখন কাফের, মুশরিক,
মিথ্যাবাদী ও অন্যদেরকে সম্বোধন করছেন তখন আমি কিভাবে অনুভব করতে পারি যে, আল্লাহ্ আমাকেই সম্বোধন করছেন; অথচ আমি তো— মুসলিম ও আখিরাতে বিশ্বাসী মুমিন। qari abdul basit বারাকাল্লাহু ফিকুম।
কুরআনে কারীম তেলাওয়াত করার সময় কিভাবে আমরা অনুভূতিতে আনতে পারি যে, আল্লাহ্ আমাদেরকে সম্বোধন করছেন?
উত্তর
আলহামদু লিল্লাহ।
কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ্ বান্দাকে সম্বোধন করছেন সে অনুভূতি অর্জিত হবে কুরআন তেলাওয়াতের সময় চুপ থাকা, গভীর চিন্তাভাবনা (তাদাব্বুর) করা ও উত্তম আমলের মাধ্যমে।
যেহেতু একজন মুসলিম এ ঈমান রাখে যে, কুরআনের মাধ্যমে আল্লাহ্ তার বান্দাদেরকেই সম্বোধন করেন: তিনি তাদেরকে নির্দেশ দেন, নিষেধ করেন। কখনও বিশেষ কোন গোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট করে সম্বোধন করেন;
আর কখনও সাধারণভাবে সম্বোধন করেন।
qari abdul basit
যখন আল্লাহ্ মুমিনদেরকে নির্দিষ্ট করে সম্বোধন করেন তখন একজন মুসলিম এ সম্বোধনটিকে স্মরণে আনবে এবং বলবে: আমরা শুনলাম এবং মানলাম। ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন:
“যখন আপনি শুনবেন আল্লাহ্ তাআলা বলছেন: ‘হে যারা ঈমান এনেছ’ তখন আপনি কান খাড়া রাখুন। কারণ আল্লাহ্ হয়তো কোন ভাল কাজের নির্দেশ দিবেন কিংবা কোন মন্দ কাজ থেকে বারণ করবেন।
”[তাফসিরে ইবনে কাছির (১/৩৭৪)]
যখন আল্লাহ্ সকল মানুষকে লক্ষ্য করে সম্বোধন করেন তখনও স্মরণ করবে যে আল্লাহ্ তাকে সম্বোধন করছেন: যদি সেটা কোন আদেশ হয় তাহলে সেটা পালন করবে, যদি কোন নিষেধ হয় তাহলে সেটা থেকে বিরত থাকবে,
যদি কোন উপদেশ হয় তাহলে উপদেশ মোতাবেক আমল করবে।
গোটা কুরআনের ক্ষেত্রেই বান্দা এ অনুভুতি লালন করবে যে, আল্লাহ্ তাকে সম্বোধন করছেন। তবে কুরআনের যে অংশ তেলাওয়াত করা হচ্ছে সে অংশ মোতাবেক এ অনুভূতি ভিন্ন ভিন্ন হবে:
যখন কোন আনুগত্যের কথা উল্লেখ করা হবে তখন স্মরণে আনবে যে, আল্লাহ্ তাকে এ আনুগত্য করার নির্দেশসূচক সম্বোধন করছেন। যখন কোন পাপের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণ করবে যে, আল্লাহ্ তাকে
এ গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার নিষেধাজ্ঞাসূচক সম্বোধন করছেন। যখন ঈমানদারদের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণ করবে যে, আল্লাহ্ তাদের সাথে মিত্রতা রাখা ও ভালবাসা পোষণ করার সম্বোধন করছেন। qari abdul basit
যখন কুফর ও নিফাক ওয়ালাদের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণ করবে যে, আল্লাহ্ তাদের সাথে শত্রুতা রাখা ও ঘৃণা করার ব্যাপারে সম্বোধন করছেন।
যখন শয়তানের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণে আনবে যে, শয়তানের শত্রুতা ও বিরুদ্ধাচারণ করা, তার অনুসরণ না করা এবং আল্লাহ্র আনুগত্য মোতাবেক আমল করার ব্যাপারে সম্বোধন হচ্ছে।
আল্লাহ্ তাআলা বলেন: “হে বনী আদম! আমি কি তোমাদেরকে বলে দেইনি যে, তোমরা শয়তানের দাসত্ব করবে না, সে তোমাদের স্পষ্ট শত্রু? আর (বলে দেইনি যে,) আমারই ইবাদত করবে? এটাই তো সরল পথ।
”[সূরা ইয়াসীন, আয়াত: ৬০-৬১]
যখন সত্য ও সত্যবাদীদের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণে আনবে যে, আল্লাহ্ তাদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সম্বোধন করছেন।
যখন মিথ্যা ও মিথ্যাবাদীদের উল্লেখ আসবে তখন স্মরণে আনবে যে, আল্লাহ্ তাদের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার জন্য সম্বোধন করছেন।
ইমাম আবু বকর আল-আজুর্রি (রহঃ) বলেন:
এরপর আল্লাহ্ তাআলা তার মাখলুককে কুরআন অনুধাবন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। তিনি বলেন: “তবে কি তারা কোরআন অনুধাবন করে না; নাকি তাদের অন্তরে তালা লাগানো আছে?”[সূরা মুহাম্মদ, আয়াত: ২৪]
তিনি আরও বলেন: “তবে কি তারা কুরআন অনুধাবন করবে না?
এই কুরআন যদি আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে আসত তাহলে তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।”[সূরা নিসা, আয়াত: ৮২]
মুহাম্মদ বিন হুসাইন (তিনিই আজুর্রি) বলেন: আপনাদের প্রতি আল্লাহ্ রহম করুন! আপনারা কি দেখছেন না যে, আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদেরকে তাঁর বাণী অনুধাবন করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করছেন।
যে ব্যক্তি তাঁর বাণী অনুধাবন করে সে রব্বকে চিনতে পারে, তাঁর মহা ক্ষমতা ও শক্তি জানতে পারে, ঈমানদারদের প্রতি তাঁর অনুগ্রহ অবগত হতে পারে, জানতে পারে আল্লাহ্
তাঁর বান্দাদের উপর যা কিছু ফরয করেছেন; তখন ওয়াজিব পালন করাকে সে নিজের উপর অবধারিত করে নেয় এবং তার মহান মনিব যা কিছু থেকে থেকে সতর্ক করেছেন
সেটা থেকে সতর্ক হয় এবং যা কিছুর প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন সেগুলোর প্রতি আগ্রহী হয়।
নিজে কুরআন তেলাওয়াত করার সময় কিংবা অন্যের তেলাওয়াত শ্রবণ করার সময় যে ব্যক্তির অবস্থা এমন হবে তার জন্য কুরআন নিরাময়ক। সে ব্যক্তির সম্পদ না থাকলেও সে ধনী।
আত্মীয়-স্বজন না থাকলেও সে শক্তিমান। যখন অন্যেরা নির্জনতা অনুভব করে তখন সে তা অনুভব করে না। সে যখন কোন সূরা পড়া শুরু করে তখন তার লক্ষ্য থাকে কখন আমি যা
তেলাওয়াত করছি সেটা থেকে নসীহত গ্রহণ করতে পারব? তার উদ্দেশ্য এটা থাকে না যে কখন আমি সূরাটি শেষ করতে পারব? তার উদ্দেশ্য থাকে কখন আমি আল্লাহ্র ভাষ্য উপলব্ধি করতে পারব?
কখন আমি (নিষেধ) থেকে বিরত হব? কখন আমি শিক্ষা গ্রহণ করব? কেননা তার কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে- ইবাদত। গাফলতি নিয়ে কোন ইবাদত হয় না। আল্লাহ্ই তাওফিকদাতা।
[“আখলাকু হামালাতিল কুরআন”, পৃষ্ঠা-৩]
অতএব, আল্লাহ্র কিতাব তেলাওয়াতকারীর অবস্থা এমনই হোক।
আল্লাহ্ তাআলাই সর্বজ্ঞ।
How can we feel that Allah is addressing us while reciting the Holy Qur’an?
Table of Contents
How can we feel that Allah is addressing us while reciting the Holy Qur’an?
question
the answer
question
Scholars say: While reciting the Holy Qur’an, a person should cherish the feeling that Allah is addressing him in every verse. But, Sheikh! When Allah is addressing the infidels,
polytheists, liars and others, how can I feel that Allah is addressing me; But I am a Muslim and a believer in the Hereafter. Barakallah fikum.
How can we feel that Allah is addressing us while reciting the Holy Qur’an?
the answer
Alhamdulillah.
The feeling that Allah is addressing the servant through the Qur’an will be achieved through silence while reciting the Qur’an, deep contemplation (tadabbur) and good deeds.
Because a Muslim believes that through the Qur’an Allah addresses his servants: he commands them, he forbids them. Sometimes addresses specific groups; And sometimes addressed in general.
When Allah specifically addresses the believers, a Muslim will remember this address and say: We hear and obey. Ibn Mas’ud (may Allah be pleased with him) said:
“When you hear Allah saying: ‘O you who have believed’, raise your ears. Because Allah may command a good deed or forbid an evil deed.” [Tafseer Ibn Kachir (1/374)]
When Allah addresses all people, remember that Allah is addressing them: if it is a command, then obey it, if there is a prohibition, then refrain from it, if there is an advice, then act according to the advice.
Throughout the Qur’an the servant will cherish the feeling that Allah is addressing him. However, this feeling will vary according to the part of the Qur’an being recited:
When any obedience is mentioned, remember that Allah is addressing him as a directive to obey. When a sin is mentioned, remember that Allah is addressing him as a prohibition against this sin. When the believers are mentioned, remember that Allah is addressing them to befriend and
love them. When mention is made of the people of kufr and hypocrisy, remember that Allah is addressing enmity and hatred towards them.
When Satan is mentioned, remember that it is addressing Satan’s enmity and opposition, not following him, and obeying God. Allah Ta’ala says: “O son of Adam!
Did I not tell you that you should not serve Satan, he is your clear enemy? And (I did not say that) you will worship me? This is the straight path.” [Surah Yasin, verses 60-61]
When the truth and truthful people are mentioned, remember that Allah is addressing them to be included.
When falsehood and liars are mentioned, remember that Allah is addressing them not to be included.
Imam Abu Bakr Al-Azurri (RA) said:
Then Allah Ta’ala encouraged His creatures to understand the Qur’an. He said: “But do they not understand the Qur’an; Or are their hearts locked?” [Surah Muhammad, verse 24]
He also said: “But will they not understand the Qur’an? If this Qur’an had come from anyone other than Allah, they would have seen many contradictions in it.” [Surah An-Nisa’, verse 82]
Muhammad bin Husain (he is the Azurri) said: May Allah have mercy on you! Do you not see that Allah is encouraging His servants to understand His words. A person who understands His words can know God, know His great power and strength, know His grace to believers,
know what God has enjoined on His servants; Then he takes it upon himself to perform the Wajib and is wary of what his Great Master has warned against and interested in what He has encouraged.
The Qur’an is a cure for the person who is in such a state while reciting the Qur’an himself or listening to the recitation of others. Even if that person has no wealth, he is rich.
He is strong even though he has no relatives. He does not feel loneliness when others feel it. When he starts reciting a surah, he aims when I
will be able to receive the guidance from what I am reciting? His purpose is not that when will I finish the surah? His purpose is when will
I be able to understand the commentary of Allah? When do I refrain from (prohibition)? When will I receive the education? Because his recitation of the Qur’an is worship.
There is no worship through negligence. Allah is the Giver of Tawfiq. [“Akhlaqu Hamalatil Quran”, page-3]
Therefore, let the reciter of the Book of Allah be like this.
Allah is All-Knowing.
Leave a Reply