Surah Al Ikhlas | সূরা আল ইখলাস বাংলা উচ্চারণ, অর্থ, আরবি ও অডিওসহ

(1)
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
কু’ল হুয়া ল্লা-হু আহাদ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, Surah Al Ikhlas


(2)
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লা-হু স্‌সামাদ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,


(3)
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইয়ুলাদ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি,Surah Al Ikhlas


(4)
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
ওয়া লাম ইয়াকু ল-লাহু কুফুওয়ান আহাদ!
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।

আরো পড়ুন ,…..

GIRL NAMES | অর্থসহ মেয়ে শিশুদের ইসলামিক নাম। 500 +

তাহাজ্জুদ নামাজ কিভাবে আদায় করবেন

নামাজের দোয়া ও সূরা (বাংলা অনুবাদ,অর্থসহ আরবি)

ইসলামিক উক্তি | ALLAH LOVE QUOTES 140+

Surah Al Ikhlas

Surah Al Ikhlas mp3 download

Surah Al Ikhlas | সূরা ইখলাস বাংলা তাফসীর।


মুসনাদে আহমদে হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মুশরিকরা নবী করীম (সঃ) কে বললোঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমাদের সামনে তোমার প্রতিপালকের গুণাবলী বর্ণনা কর।”

তখন আল্লাহ তা’আলা (আরবি) এ সূরাটি শেষ পর্যন্ত অবতীর্ণ করেন।

(আরবি) শব্দের অর্থ হলো যিনি সৃষ্ট হননি। এবং যার সন্তান সন্ততি নেই। কেননা, যে সৃষ্ট হয়েছে সে এক সময় মৃত্যুবরণ করবে এবং অন্যেরা তার উত্তরাধিকারী হবে।

আর আল্লাহ তা’আলা মৃত্যুবরণও করবেন না এবং তাঁর কোন উত্তরাধিকারীও হবে না। তিনি কারো সন্তান নন এবং তার সমতুল্য কেউই নেই। (ইমাম তিরমিযী (রঃ), ইমাম ইবনে জারীর (রঃ)

ইমাম ইবনে আবী হাতিমও (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে সহীহ বলেছেন)

সহীহ বুখারীর কিতাবুত তাওহীদে নবী করীম (সঃ)-এর সহধর্মিনী হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহর নবী (সঃ) একটি লোকের নেতৃত্বে একদল সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।

তারা ফিরে এসে নবী করীম (সঃ) কে বললেনঃ “হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! যাকে আপনি আমাদের নেতা মনোনীত করেছেন তিনি প্রত্যেক নামাযে কিরআতের শেষে।(আরবি) সূরাটি পাঠ করতেন।”

নবী করীম (সঃ) তাদেরকে বললেনঃ “সে কেন এরূপ করতো তা তোমরা তাকে জিজ্ঞেস কর তো?” তাকে জিজ্ঞেস করা হলে উত্তরে তিনি বলেনঃ Surah Al Ikhlas

“এ সূরায় আল্লাহর রাহমানুর রাহীমের গুণাবলী বর্ণনা করা হয়েছে, এ কারণে এ সূরা পড়তে আমি খুব ভালবাসি।” এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ “তাকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহও তাকে ভালবাসেন।”

সমস্ত সূরার তাফসীর পড়ার জন্য এই মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুণ

Surah Al Ikhlas | ফজিলত


১. হযরত আবু হোরায়ারা (রাঃ) বর্ণনা করেন, একবার রসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ তোমরা সবাই দলবদ্ধ হয়ে যাও আমি তোমাদেকে পবিত্র কোরানের এক তৃতীয়াংশ শুনাবো।

তারপর সবাই একত্রিত হল এবং রসুলুল্লাহ (সাঃ) সূরা ইখলাস পাঠ করে শুনালেন। এরপর বললেন রা ইখলাস পবিত্র কোরানের এক তৃতীয়াংশ। (মুসলিম, তিরমিযী)

২. আবু দাউদ, তিরমিযী ও নাসায়ীর এক দীর্ঘ রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও নাস পাঠ করে তা তাকে বিপদ-আপদ ও শয়তানের খারাপই থেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে যথেষ্ট হয়। – (ইবনে-কাসীর)

৩. ওকবা ইবনে আমের (রাঃ)-এর রেওয়ায়েতে রসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদেরকে এমন তিনটি সূরা বলছি, যা তওরাত, ইঞ্জীল,

যবুর ও কোরআনসহ সব কিতাবেই রয়েছে। রাতে তোমরা ততক্ষণ নিদ্রা যেও না, যতক্ষণ সূরা এখলাস, ফালাক ও নাস না পাঠ কর। ওকবা (রাঃ) বলেনঃ সেদিন থেকে আমি কখনও এই আমল ছাড়িনি। – (ইবনে কাসীর)

৪. যে ব্যক্তি অধিক পরিমানে সূরা ইখলাস পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব করে দিবেন।

৫. যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস অধিক পরিমাণ পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাঁর লাশ বহন করার জন্য ফেরেশতা হয়রত জিবরাঈল (আঃ) এর সাথে সত্তর হাজার ফেরেশতা প্রেরন করবেন। সেই ফেরেশতারা তাঁর লাশ বহন করবে এবং জানাজায় শরিক হবে।

৬. রাসুল (সাঃ) এর সময় একবার এক এলাকার একজন ইমাম সাহেবের নামে বিচার আসলো। বিচারের দাবী ছিল যে সেই সাহাবী প্রতি ওয়াক্ত নামাজে শুধু সূরা ইখলাস পড়ত।

এই প্রসঙ্গে সেই সাহাবীকে তিনি জিজ্ঞেস করলে সাহাবা উত্তরে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) সূরা ইখলাসে আল্লাহর পরিচয় বর্ণিত আছে এ কারণে এ সূরাকে আমি অনেক ভালবাসি। তাই আমি সব নামাজে এই সূরা পড়ি।

এই কথা শুনে আল্লাহ রাসুল (সাঃ) কিছু বলার আগেই আল্লাহ বলে পাঠালেন যে শুধু তার সূরা ইখলাসের প্রতি এই ভালবাসাই তার জন্য জান্নাত নিশ্চত করে দিয়েছে।

প্রিয় ভাই ও বোনেরা সূরা ইখলাসের ফজিলত অনেক যা হয়তো লিখেও শেষ করা যাবে না। আসুন আমরা দৈনিক বেশি বেশি করে সূরা ইখলাস পাঠ করি। লিখাটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করে অন্যদের পড়ার সুযোগ করে দিন।

ব্যাখ্যা: Surah Al Ikhlas

নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বের হয়ে সাফা পাহাড়ে গিয়ে উঠলেন এবং “ইয়া সাবাহাহ’ (সকাল বেলার বিপদ, সাবধান) বলে চিৎকার করে ডাকলেন। সবাই সচকিত হয়ে বলে উঠলো,

এভাবে কে ডাকছে? তারপর সবাই তার পাশে গিয়ে সমবেত হলো তিনি বললেনঃ আচ্ছা, আমি যদি এখন তোমাদেরকে বলি যে, এ পাহাড়ের অপর দিক থেকে একটি অশ্বারোহী সৈন্যবাহিনী আক্রমণের

জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, তাহলে কি তোমরা আমাকে বিশ্বাস করবে? সমবেত সবাই বললো, আপনার ব্যাপারে আমাদের মিথ্যার অভিজ্ঞতা নাই। তখন তিনি বললেনঃ আমি তোমাদেরকে একটি কঠিন

আযাব সম্পর্কে সাবধান করে দিচ্ছি। একথা শুনে আবূ লাহাব বললো, তোমার অকল্যাণ হোক। তুমি কি এ জন্যই আমাদেরকে সমবেত করেছো? এরপর সে সেখান থেকে চলে গেল। তখন নাযিল হলো-

“ভাব্বাত ইয়াদা আবী লাহাব” “আব্বু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক।” (বুখারী, হাদীস নং ৪৯৭১)

Tags: surah ikhlas bangla, surah ikhlas, surah al ikhlas, surah al ikhlas bangla translation, surah al ikhlas with bangla translation, সূরা ইখলাস, সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল ইখলাস, অর্থসহ সূরা আল-ইখলাস, সূরা আল-ইখলাস এর অর্থ, আল-ইখলাস, সূরা আল-ইখলাস এর বাংলা

তফসীর, সূরা আল-ইখলাস এর বাংলা অনুবাদ, সূরা আল-ইখলাস (বাংলা অর্থসহ), সূরা আল-ইখলাস এর বাংলা তাৎপর্য, সূরা আল ইখলাস বাংলা অনুবাদ, সূরা আল-ইখলাস- surah al-ikhlas, সূরা ইখলাস বাংলা উচ্চারণ, সূরা আল ইখলাছ, সূরা আল ইখলাস মশক, ইখলাস সূরা, সূরা ইখলাসের, সূরা এখলাস, সূরা ইখলাস বাংলা, সূরা ইখলাস শিখুন, সূরা ইখলাস ২০০ বার, সূরা ইখলাসের ফজিলত, বাংলা সূরা,

সূরা ইখলাস শিখতে চাই, সূরা ইখলাস এর তাফসীর, quran bangla, surah ikhlas in bangla, surah ikhlas bangla uccharon, surah ikhlas bangla meaning, surah al-ikhlas, surah, ikhlas, bangla quran, surah ikhlas bangla lekha, surah ikhlas bangla anubad, surah ikhlas bangla tafsir, surah ikhlas benefits bangla, sura al ikhlas, quran bangla translation, surah al ikhlas tafsir, surah ikhlas bangla translation

শব্দে শব্দে মুখস্থ করুন খুব সহজে | Surah Ikhlas

The Significance of Surah Al-Ikhlas in Islam

Surah Al-Ikhlas is a revered chapter of the Holy Quran that holds immense significance in Islam. Comprising of only four verses, it is a concise yet powerful declaration of the oneness of Allah (SWT) and is often referred to as the “heart” of the Quran.

The name “Al-Ikhlas” means purity or sincerity, and this surah emphasizes the pure and sincere belief in the oneness of Allah. Its message is simple yet profound, as it asserts that there is no deity worthy of worship except Allah, the One and Only.


by

Tags:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *